শহরের উষ্ণতম দিনে
পিচগলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস.......
হ্যা, অনেক দিন যাই না অন্ধবিশ্বাসের প্রান্তটাতে৷ ঢাকা থেকে দিনের এক চতুর্থাংশ সময়ের ব্যাবধানে যাওয়া গেলেও আজ কাল আর যাওয়া হয় না। নেইমিসিস এর কবে গান টার লাস্ট সীনের মত পেছন থেকে নানা দায়িত্বের দড়ি টেনে ধরে রাখে।
তাই সেই ভূখন্ডও একটু আধটু রাগ করে মুখ গোমরা করে। তবুও মহিনের ঘোড়াগুলোর মত এখনো তার উপর আস্থা রেখে বলতে পারি
শহরের উষ্ণতম দিনে
পিচগলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস
তোমায় দিলাম আজ।
কারন এই প্রান্তর আজন্ম হাঁড়কাপানো শীতে দিয়েছ মিস্টি রোদ, উষ্ণতম দিনে দিয়েছে বৃষ্টির বিশ্বাস।
এসেছে নতুন শিশু,তাদের ছেড়ে দিতে হবে স্থান। হুম, তাদের উপরে ছেড়ে দিচ্ছি এই শহরকে। এই মায়াভরা মেট্রোপলিটন আর এক রাস্তার শহর।
কিন্তু ওরা মনেহয় বেশিই ছোট। তাই বার বার নোংরা করে ফেলছে হয়ত। নিজেকে বুঝাই,সময়ের সাথে বড় হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে সব। তবু অবচেতন মনে নিজেকে জিজ্ঞেস করে ফেলি, "ঠিক হবে তো? "
কয়দিন আগে আরেক সেমিস্টার ব্রেকে এসে বাসায় না গিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বুড়ো শিশুরা। এক পলক দেখতে, আমার মাটি, আমার মা টা কে একবার জিজ্ঞেস করতে, কেমন আছ তুমি?
সারা রাত কাটিয়েছি বহুদিনের চেনা অথচ অভিমানী কিছু কাদামাটি আর পীচগলা রাস্তার সাথে।
চায়ের কাপ গুলো অবশ্য খুব সগরম ছিল।তারা অত শত বোঝেনা। ল্যাম্পপোষ্টের নিচে দাড়াতেই সোডিয়াম আলো একদম ঝলসে দিল মুখ। ওইযে, না যাওয়ার অভিমান, তাই হয়তো। হাজার অনুনয় বিনয়ের পরে সকাল বেলা আমাদের একঝাঁক পাখির হাসি উপহার দিয়ে শুধু কানের কাছে এসে বলল "মা কি রাগ করতে পারে রে বোকা? "
No comments:
Post a Comment