Monday, 19 April 2021

মাতাল নদীর রোদ ও পিংক ফ্লয়েড

এক লোক ট্রল করে ফেবু তে এই লোকের গাওয়া পিংক ফ্লয়েডের উইশ ইউ আর হিয়ার এর বাংলা ভার্শান দিলো । 
বাট আমার গান টা অসম্ভব ভালো লাগে । এক ধরণের ঘোর কাজ করে গানটা শুনলে , সাথে মিউজিক ভিডিও দেখলেও আরো ঘোর বাড়ে । 

সুর গুলো পুরোনো রুপালি পর্দার সেই সুর গুলোর মত , সেই অনুষ্ঠান গুলোর মত , যাকে দেখার আগ্রহ আমার কোন কালেই ছিলোনা , গানের গলা একদম মাতাল , কন্ট্রোল নেই , অনুবাদ করা গানের কথা গুলো এলোমেলো, খুব শহুরে ভদ্র ভাবে লেখা না , কিন্তু গানে মাতাল হতে হলে সব দিক দিয়ে যেই খুঁত গুলো থাকতে হবে , সবই আছে এই দাদুর গানে । 

আজ সারাদিন এই গান গুলোই শুনবো , এই ভার্শান গুলো 

হর্ষকুমার দাশগুপ্ত এর ইয়ুটিউব চ্যানেল -  https://www.youtube.com/user/drdgharsha/videos

চ্যানেলে আরো অনেক গুলো পিংক ফ্লয়েডের কাভার আছে । সব ভালো লাগে নি যদিও । বাট এই দুইটা ভালো লাগসে । বুড়ো মানুষ রা শেষ বয়সে আবোল তাবোল বকে, সারা জীবনের ফ্ল্যাশব্যাকে অনেক বিচ্ছিন্ন জিনিস আসে, মুখ ফুটে অল্প কিছু শব্দ বের হয় , সেগুলো তার পুরো জীবন রিপ্রেজেন্ট করে , সবাই শুনে , বুঝতে পারেনা, বুঝতে বুঝতে বেলা ফুরোয় ।  অর্থোদ্ধার করার পর সব গুলো শব্দকেই অনেক দামি মনে হয় । 
আমিও তার অনুবাদ গুলো কোন এক সূতোয় বাঁধার চেষ্টা করছি বোধয় । 





হর্ষকুমার দাশগুপ্ত এর ইয়ুটিউব চ্যানেল - https://www.youtube.com/user/drdgharsha/videos

চ্যানেলে আরো অনেক গুলো পিংক ফ্লয়েডের কাভার আছে । সব ভালো লাগে নি যদিও । বাট এই দুইটা ভালো লাগসে । বুড়ো মানুষ রা শেষ বয়সে আবোল তাবোল বকে, সারা জীবনের ফ্ল্যাশব্যাকে অনেক বিচ্ছিন্ন জিনিস আসে, মুখ ফুটে অল্প কিছু শব্দ বের হয় , সেগুলো তার পুরো জীবন রিপ্রেজেন্ট করে , সবাই শুনে , বুঝতে পারেনা, বুঝতে বুঝতে বেলা ফুরোয় ।  অর্থোদ্ধার করার পর সব গুলো শব্দকেই অনেক দামি মনে হয় । 
আমিও তার অনুবাদ গুলো কোন এক সূতোয় বাঁধার চেষ্টা করছি বোধয় । 



Saturday, 17 April 2021

১৭ এপ্রিল, ২০২১


সেহরির পরে, রাতের শেষ ভাগ।ওয়েদার এপ এ দেখালো গত কয়েকদিনের মত প্রচন্ড গরম পড়বে আজও। কিন্তু রাতুল বলল আজ অনেক জায়গাতেই নাকি ঝড় তুফান হল, নোয়াখালীর দিকেও তুফান হবে। আমি কিছুটা হেসে উড়িয়ে দিয়েই বললাম, "ওয়েদার এপ গুলো ৯০% কারেক্ট, এখানে কোন বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও দেখাচ্ছে না :P "
কানে হেডফোন লাগিয়ে কম্পিউটারে কাজ করতে বসলাম।
এমন সময় রাতুল মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট কয়েকবার অন অফ করল। হেডফোন খুলে পেছনে ফিরতেই বলে উঠল, "বাইরে অলরেডি তুফান শুরু "
নিজের কথাকে ঠিক রাখতে বললাম, "ও আচ্ছা তুফান ত হতেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হবেনা মেবি, রেইন প্রেডিকশান নাই"

হুট করে দেখলাম পিসিতে নেট নেই। বাইরের লাইট টা, যেটা রুমের জানালার পাশে জ্বলতো, সেটাও নিভে গেছে।

কান থেকে হেডফোন সরাতেই দেখি ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। সাথে একটা স্নিগ্ধ শীতল বাতাস।

নেট নেই দেখে পিসি তে অফলাইন ডাউনলোড করা অর্ধেক দেখা মুভি টা আবার চালিয়ে দিলাম। Before sunrise ( 1995)

এই শীতল বাতাসে মুভির প্রত্যেকটা লাইন খুব মায়াবী শুনাচ্ছিল। এই ছেলে আর মেয়ের মধ্য উদ্দেশ্যহীন ছন্নছাড়া কথাবার্তাগুলো, আর অহেতুক আনন্দে মিটিমিটি হাসা দেখে নিজেদের কথা মনে পড়ল।
আমি আর নিতু ঠিক এরকমই উদ্দেশ্যহীন। তবু বোধয় সব বুঝতে পারি। অথবা বুঝতে চেষ্টা করি।

বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ এখনো ওয়েদার এপ এ বৃষ্টির কোন নাম গন্ধও দেখাচ্ছেনা। মোবাইলের ওয়েদার এপ এর কোন আপডেট আসলো কিনা চেক করলাম। দেখলাম লেটেস্ট ভার্শান টা ই আছে। হালার কি এক শরম দিলো -_-

https://www.imdb.com/title/tt0112471/

Sunday, 5 April 2020

বই মেলা,নিলক্ষেত ও পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ঘ্রাণ

ছোটবেলায় একবার খাতায় কলম দিয়ে নদী আর নদীতে পানি আঁকছিলাম। সবে মাত্র পেন্সিল থেকে কলমে গিয়েছি, তাই হুট হাট কলম ধরার ব্যাপারে আম্মুর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাঁর ভাষ্যমতে এটা হাতের লেখার সৌন্দর্য খারাপ করে। হুম এখন অবশ্য আমি ডাক্তার দের মতই লিখি। তো নদীর পানি আঁকছিলাম খুব আপন মনে। নদীর এত বপড় অংশে কালো কালির পানিতে পুরোটা ভরিয়ে ফেলার পর কাগজ টা থেকে একটা ঘ্রাণ আসতে লাগলো। এই ঘ্রাণ টা যে কোন ধরণের সুঘ্রাণ ছিল না, তা একদম স্পষ্ট। কিন্তু একে কোন বাজে গন্ধের কাতারেও ফেলা যায় না। আমার ভালো লেগে গেলো। কিন্তু সমস্যা হল,এভাবে খাতায় নদী আঁকার দেখলে আম্মা পিঠের চামড়া তুলবে। তবু খাতা গুলোতে নিজের নাম রোল নাম্বার মোটা করে দেওয়ার জন্যে বা প্রথম পেইজে নাম ঠিকানার পাশে মোটা বর্ডারে চতুর্ভুজ,বা কালো রঙ এ ফিল করা সূর্য,নদী, কালো জামা আঁকতাম।

মধ্যবিত্ত পরিবারে সব কিছু হিসেব করে খরচ করার নিয়মের মধ্যে দেখলাম আম্মা আব্বা কলম খরচ করার ব্যাপার টা তে শুধু যে খুশি হন, তা কিন্তু না। পাশাপাশি পিঠে কয়েকটা সাবাশমূলক ধুম ধাম চাপড় ও মারেন। কলমের কালির ঘ্রাণ পছন্দের কারনেই হয়ত বা বন্ধুদের পচানোর খোরাক গল্প কবিতা লেখা শুরু করে দিয়েছি।

কলমের কালির ঘ্রাণ এখন আর পাই না,যদিও কী - বোর্ড টা ও কালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ইংরেজি তে লিখতে হয়। কেন জানি আমার ইংরেজি কোন নোভেল পড়তেও ভালো লাগেনা,বাংলার মত কন্টিনিউয়াস ইংরেজি বর্ণ গুলো লিখতেও পারিনা। ( টং দোকানে মোবাইলে অভ্র কি বোর্ডে বাংলা লেখার কম্পিটিশান এ চ্যাম্পিয়ন :3) কিন্তু এখনও একটা গন্ধের জন্য মস্তিষ্কে অনেক খানি আবেগ বরাদ্দ দেওয়া। তা হল যেকোন বাংলা বই এর গন্ধ।

একদম চরম সত্য হচ্ছে, পিডিএফ এর সহজলভ্যতায় আর মানিব্যাগের ভার কম থাকায় বিভিন্ন কোর্স এর বই কেনা হত না, আবার আগে আগে কোর্স করে ফেলা বন্ধু বান্ধব থেকে আনা বই গুলাও সেভাবে আবেদন জাগাতে পারেনাই মনে।

স্কুল লাইফ থেকেই নিউমার্কেট আর নীলক্ষেত সম্পর্কে নানান মিথ ছিল মনের ভেতরে। মধ্যবিত্তের জীবনে সমাজে মানিয়ে চলতে হয় নানার রেপ্লিকায় আবদ্ধ হয়ে একটা হাসির রেপ্লিকা মুখে নিয়ে। জামা কাপড়ের জন্য ভেনার প্লাজা ( ভ্যান গাড়ি) কিংবা নিউমার্কেট এ যেতে হতই। তখন আস্তে আস্তে নীলক্ষেতের সাথে পরিচয়। তখন একদিন একটা বই এর দাম জিজ্ঞেস করলাম হুদাই। গায়ের দাম ই ছিল ৮৫০ এর মত। সেটা কমিয়ে বললেও বলবে হয়ত চার পাচ শ। ওমা,ওই বই আমাকে ১৫০ এ দিয়ে দিল। আবার অনেক জোরাজুরি করে ১০ টাকা ভাড়াও নিতে পারলাম।


সেই থেকে নীলক্ষেত আমার জন্য এক আবেদনের বস্তু। সব সময় যাই পুরান বই কিনতে,পুরান বই এর ঘ্রাণ নিতে। অনেক প্রবীণ একটা মায়াবী ঘ্রাণ সে ঘ্রাণ। মাহাতাব ভাই একটা কথা বলেন প্রায়ই, "নীলক্ষেতে গেলে একই সাথে অনেক আনন্দ হয়। কারণ চারপাশে এত বই,সব সাধ্যের মধ্যে। আবার অনেক হতাশ ও লাগে,এত বই একজীবনে কখন পড়ে শেষ করবো?! "

পুরান বই এর ঘ্রাণ এর থেকেও আরো ভেলিড আলোচনা হল নতুন বই এর ঘ্রাণ। সব সময় নতুন ক্লাসের প্রথম দিন ত সে জন্যেই জাওয়া। এখন তো আর বই কিনিনা নতুন কোর্সে উঠে।এখন?
এখন বছরের প্রথম মাসের বদলে দ্বিতীয় মাসে যাই বইমেলায়। চারপাশে কত শত বই। প্রথমেই যাই মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের স্টলে। নতুন কোন পোস্টার থাকলে সাথে সাথে কিনে ফেলি, পুরানো পোস্টার হল্ব কিনি , নোয়াখালীর বাসার জন্য। কয়দিন আগে মেস চেঞ্জ করার পর কয়েকটা পোস্টার লাপাত্তা। আজ গিয়ে সেগুলো কিনলাম। সাথে নতুন তিনটা ইমেজ কার্ড । এবার গিয়ে এক দূর্দান্ত জিনিস পেয়ে গেলাম। জহির রায়হানের "স্টপ জেনোসাইড" আর কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর সিডি। সাথগে সাথেই কিনে ফেললাম। এর পর আবার বই মেলায় হারিয়ে যাই। একবার এদিক ছুটি তো আরেকবার ওদিক। বই এর নাম পড়ি, ঘ্রাণ নি। কিন্তু পকেটের দিকে তাকিয়ে আবার ২০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে আবার চলে আসি নীলক্ষেত।রিকশায় করে আসি,যেন তাড়াতাড়ি বই মেলা থেকে বই কিনতে না পারার আপেক্ষ টা চলে যায়।


নীলক্ষেত এসেই তো দেখি সব পুরান পুরান বই নিয়ে বসে আছেন লোক জন রাস্তার ধারে। যা নেন, সব ১০০. তাড়াতাড়ি করে এই বই নি,ওই বই হাতে নিয়ে নি। কিনবো নাকি না কিনবো তা পরের,আগে দখল করি। সীমিত সংখ্যক বই। এর পর হাত খরচের টাকা থেকে টুক টাক বিলাসিতার খরচ বাদ দিয়ে তার সমানুপাতে বই হাতে ধরে রাখি আর ঘ্রাণ নিই। পুরান বই এর ঘ্রাণ। মনে মনে বাজতে থাকে "কি করি আজ ভেবে না পাই,পথ হারিয়ে কোন বনে যাই....."



একটা ক্যাটস-আই এর শার্টের রেপ্লিকা হয়,একটা নাইকি বা এডিড্যাসের জুতার রেপ্লিকা হয়,লোটোর রেপ্লিকা জুতা কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে,ক্যাসিও ক্যালকুলেটর এর রেপ্লিকা হয়। রেপ্লিকাতেই চলে হরপদমসে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল,এই যে বই, কম দামে পাচ্ছি, এগুলা কিন্তু রেপ্লিকা না। অনেক বছর আগে নজরুল, রবীন্দ্র, শরত কিংবা সত্যজিত যা লিখে গিয়েছিলেন,তা ই আমি পড়তে পারছি। ঘ্রাণে কিই বা আসে যায়। আমার কাছে যেমন আমার ছোট ভাই এর গায়ের ঘ্রাণ অনেক প্রিয়,তেমনি আমার বাবার, দাদার নানার গায়ের ঘ্রাণ ও অনেক প্রিয়।



রিফাত আহাম্মেদ, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯







π - Pi ( পাই)


ক্লাসফাইভে যখন প্রথমবারের মত ন্যাশেনাল ম্যাথ অলিম্পিয়াডে যাই, তখন দেখি সেখানকার স্যারেরা পাই নিয়ে অনেক কথা বলছে। বাইরে অনেকগুলো পোষ্টারে একটা অদ্ভুদ চিহ্ন(π)দেওয়া। তার নিচে পাই কে নিয়ে অনেক হাবিজাবি লেখা। শুধু এটুকু বুঝলাম, এই চিহ্ন টা পাই এর। পরবর্তি তে আস্তে আস্তে এর তাৎপর্য বুঝতে লাগলাম উপরের ক্লাস গুলোতে উঠে।বুঝলাম পাই একটা ধ্রুবক,যার মান বৃত্তের পরিধি আর ব্যাসের অনুপাতে প্রাপ্ত, অমূলদ সংখ্যা, মান 3.1416...... , অনেক অনেক সূত্র তে ব্যাবহার করা হয়, তাই এত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্চের 14 তারিখ কে 3.14 হিসেবে লিখলে পাই এর মানের সাথে মিল পাওয়া যায়। তাই বিজ্ঞানিরা মার্চের ১৪ তারিখ দিল π দিবস হিসেবে ঘোষনা করে!!!!!!! এর উপর মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর জন্মদিনও ১৪ ই মার্চ!!! কি কাকতালীয়।

তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে পাই এর মান দশমিকের পর হাজার হাজার ঘর নির্ণয় করা সম্ভব হলেও, একজন মানুষের পক্ষে সর্বোচ্চ কত ঘর পর্যন্ত পাই এর মান বলা সম্ভব? আপনি যদি ভেবে থাকেন, পাই এর মান বলা নিয়ে কাদের এত আগ্রহ থাকতে পারে, তাহলে আপনি জেনে অবাক হবেন পাই এর মান বলার ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসমূহ নিয়ে আস্ত একটা ওয়েব সাইট পর্যন্ত রয়েছে!!! ( http://pi-world-ranking-list.com/index.php?page=home )

"লু চাও" চীনের ২৪ বছর বয়স্ক স্নাতক ছাত্র, যিনি পাইয়ের মান বলার ওয়ার্ল্ড রেংকিং এ ২য়,তিনি ২৪ ঘণ্টা ৪ মিনিট সময় নিয়ে দশমিকের পর ৬৭,৮৯০ ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান শুদ্ধভাবে বলতে সক্ষম হন। দশমিকের পর ৬৭,৮৯১ ঘরের মান বলার সময় তিনি ভুল করে ৫ বলেন, যেটা আসলে ০ হবে।তিনি বলেন,তার দশমিকের পর ১০০,০০০ ঘরের মান পর্যন্ত মুখস্থ ছিল,এবং ৯১,৩০০ বলতে যাচ্ছিলেন।তিনি বলেন,দশমিকের পর ১০০,০০০ ঘরের মান পর্যন্ত মুখস্থ করতে তার ১ বছর লেগেছিল।

নিম্নে "Pi World Ranking List" ওয়েবসাইট কে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল :

1. How long did it take you to recite the 67,890 places ?

=>It took me 24 hours 4 seconds to recite to the 67,890th place of Pi.

2. Did you take any breaks ?

=>No. According to the rule set by GWR, the time between two numbers should be no more than 15 seconds. So there was no lunch time, no toilet break during my recitation.

3. How long did it take you to memorize the digits ?

=>About one year.

4. Are the 67,890 places as far as you got or did you even know more at some time ?

=>I've got 100,000 digits of pi, and I was going to recite 91,300 digits of them. But I made a mistake at the 67,891th digit. It was "0" but I said "5" in my recitation. Then after a few while the challenge stopped.

5. Did you make any errors during your recitation ? If yes, how many ?

=>I made a mistake at the 67,891th digit. That is the only one.

6. Did you use a special technique to memorize all these digits ?

=>Yes. It is based on many traditional techniques of memorizing. I just did some improvement. It is difficult for me to explain it in English because of my poor English. And it has some relationship with Chinese language. I haven't given it a special name yet. And now I am going to publish a book to fully explain it. I can send you a copy when the book is finished if you like. but I am sorry to say that it was written in Chinese. And the main purpose of the book is to teach students how to memorize efficiently on their study, not only on numbers.

7. Was this your first record attempt or did you try before ?

=>It was my first time to take my attempt in front of News Media Agencies and the public. But I tried several times in front of my classmates before the attempt.

8. Do you have any plans to break your record in the future ?

=>Perhaps in the long future I will have a try, especially when someone would break my record. but in rencent years, I will be busy with my study and research. Thank you.

তবে এই লিষ্টে এক নং এ থাকা ২১ বছর বয়সী ইন্ডিয়ান "রাজভির মিনা" ২০১৫ সালে নির্ভুলভাবে 70000 পর্যন্ত মান বলে ঠিক ই শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন,পেয়েছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড এ ঠাঁই। ৯ ঘন্টা ২৭ মিনিটে পাই এর ৭০০০০ ঘর পর্যন্ত মান বলে লু চাও এর ১০ বছরের রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হন তিনি।

পাই ছাড়াও রয়েছে দুইয়ের বর্গমুলের মান বলার ওয়ার্ল্ড কম্পিটিশন, যার প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন USA এর মার্ক আমিল, 5544 ঘর পর্যন্ত মান বলে। আর e এর মান বলার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড লিষ্টে 5100 মান বলে প্রথমে আছেন আলজেরিয়ার সেলিম বেলহামেচ !!!!

এরকম আরো কিছু ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর তালিকা পাওয়া যাবে এ পেইজে( http://www.recordholders.org/en/list/memory.html )

মাতৃভাষায় কিউট ধ্রুবক pi নিয়ে আরো জানা যাবে এ পেইজে ( https://bn.m.wikipedia.org/wiki/পাই )

এছাড়াও পাই নিয়ে কিছু সাইট ,যেগুলোতে পাই নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। http://www.plouffe.fr/

http://highpi.4t.com/index.html

ঈদ

'ঈদ" দুইটা বর্ণের একটা শব্দ মাত্র, অথচ চিন্তা সীমার বাইরে চোখের সামনে হাজারো সুখের অনুভূতি হাজির করতে সক্ষম। ক্যালেন্ডারের পাতা দিয়ে বই বাঁধাতে বাঁধাতে হঠাৎ মাঠে ঘাটে ঈদ মোবারক বলার সময়টা কখন যেন এসে গেছে নীরবে। ঈদের আগের এই সময় টা তে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে ওঠে নানা রকমের যানবাহন। ট্রেন বাস লঞ্চের টিকেট লাইনে বাঙ্গালির 'ধৈর্যহারা' বদনাম টার বিপক্ষে সবাই সম্মিলিত ভাবে সাক্ষ দেয়। ঘন্টার পর মিনিট, মিনিটের পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট পেয়ে প্রাক-ঈদ আনন্দ উৎসব শুরু করে। যারা স্থলপথের যাত্রী, তাদের নানা রকমের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ এই বাড়ি ফেরা যাত্রা। এই যাত্রাপথে তারা শুনতে পারে বিভিন্ন সূরে "ওয়াক-বোয়াক" তালে গাওয়া অন্য সহযাত্রীর আতঙ্ক সৃষ্টিকারী গান। জানতে পারে কচ্ছপ আর খরগোশ এর দৌড় প্রতিযোগিতায় কচ্ছপের সঠিক গতি সম্পর্কে। ধীর হলেও তারা জানে, কচ্ছপের মত গাড়িও ফিনিশিং লাইন পৌছোবেই ঠিকি। এছাড়া পর্যবেক্ষনের এক সুবিশাল ক্ষেত্র ত আছেই। কুরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষদের সাথে রাজপথে থাকে বাজারমুখো গরু ছাগল। তারা সুনিপুণ ভাবে লেজ নাড়িয়ে আসন্ন জৈব সার অথবা ট্রাকের মেঝেতে ঝর্ণা ধারা বইয়ে দেওয়ার নিশ্চুপ জানান দেয়। পেছনের গাড়ির চালক এবং সামনের সিটের যাত্রী রা গ্লাস দিয়ে সেই অমায়িক বীভৎস গোবরীয় ব্যাপার দেখতে থাকে। চলতে চলতে যখন গাড়ির সাউন্ডবক্সে বাজতে থাকে, "এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত তুমি বল তো " , তখন পেছন থেকে কোন বিদ্রোহী জনতা "গান বন্ধ কর। হাউয়ার গান লাগাইসে" বলে গান মিশ্রিত আনন্দঘন পরিবেশটা নষ্ট করে দেয় মুহূর্তেই। এরই মধ্যে যাত্রা বিরতি নামক পরম আকাঙ্ক্ষিত একটা ব্রেক এসে পড়ে। যাত্রা বিরতির শুরুতেই নিজের উপর জমিয়ে রাখা ক্ষোভ, রাগ ঝেড়ে ফেলতে সবাই ছোটে টয়লেটে। 'ত্যাগেই প্রকৃত সুখ' উপলব্ধি করেই 'ভোগেও সুখ আছে' ভেবে একটা জম্পেশ খাওয়া দেয়। সবাই খাওয়ার পাশাপাশি নিজ গাড়ির ড্রাইভার এর দিকে কিছুক্ষন পর পর তাকিয়ে দেখে নিশ্চিত হয় - গাড়ি গাড়ির জায়গাতেই আছে। আবার যাত্রা শুরু। এই ধাপে একটা প্রফুল্ল ভাব বিরাজ করে সবার মাঝে। ফ্যান গুলো আবার ক্যাঁত ক্যাঁত আওয়াজে সরব হয়ে যায়। বিরক্তিকর ভাবে একটু বাতাস দিয়ে ঘাড় ত্যাড়া করে আরেক দিকে ফিরে যায়। আবার অনেক সময় পর এসে বাতাস দেয় একটু। বাড়ি যখন আর অল্প দূরে, তখন সবাই ভাবে, কিভাবে ঘরে ঢুকতে হবে। ধুম করে দড়জা খুললে বাবা মা কে জড়িয়ে ধরবে? নাকি উচ্চ স্বরে "এসে গেসিইইই " বলে চেঁচাবে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই ব্যাগ টেনে সিড়ি দিয়ে উঠে দড়জা খুললে কোন নাটকিয়তা ছাড়াই "আসসালামু আলাইকুম" বলে ঢুকে পড়া। যারা চাকুরীজীবী, তারা তাদের মা বাবা ছোট ভাই বোন দের সামনে তার ছোট ব্যাগ টা খুলে ভেতর থেকে সবার জন্য ঈদের কেনা জামা কাপড় বের করতে থাকে। মুহূর্তেই সেই জামাকাপড় থেকে ভালোবাসার সুগন্ধে চার পাশ ভরে যায়। আর যারা ছাত্র, তারাও নিজের জামা কাপড় থেকে হঠাৎ হঠাৎ ছোট খাটো বাবা মা ভাই বোনের শখের জিনিস বের করে। মা বকুনি দিয়ে বলে, "তোরে এগুলো আনতে বলসে কে? " কি মায়া, কি মধুর সেই বকুনি গুলো। দেখতে দেখতে ঈদের দিন আসে। সবাই নিজ নিজ ঘুমের রুটিন এর চেয়ে তাড়াতাড়ি উঠতে চেষ্টা করে। খুশির চোটে ঘুম থেকে উঠে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে চারপাশ। পরিপাটি হয়ে ঈদগাহে যায়। ঈদের নামাজে ভুল করে রুকু তে চলে যায়, পরে পাশের জন কে দেখে তাৎক্ষণাত তা ঠিক করে ফেলে। কখনো বৃষ্টি হয়। কখনো আকাশে আগুন ঝরে। তবে এসবের মধ্যেও বাতাসে 'ঈদ' ভাসে। তাকালেই দেখা যায়। পরবার, বা বন্ধুবান্ধব, এখানে সেখানে ওড়া, ঘুম দেওয়া, কাজ করা, নামাজ এর কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া... পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া কাটানো একটা দিন। আর পরের দিন সকালে উঠে "ঈদ কেমন কাটসে? " প্রশ্নের উত্তরে "এই কাটসে আরকি কোনরকম" বলা... ঈদের দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন, চতুর্থ দিন। চ্যানেল গুলোর ঈদ আয়োজন শেষ হতে থাকে। তবে BTV তে ঈদ থামেনা। চলছেই ঈদ। ঈদের অষ্টম দিন বা নবম দিন হঠাৎ আচমকা 'ঈদ মুবারক ' লেখা টা গায়েব হয়ে যায় BTV এর বুক থেকে। তখন বুঝা যায়, এবার চলতে শুরু করেছে যন্ত্র গুলো। মেরুদন্ড গুলো আবার বয়ে যেতে শুরু করেছে ১৫/২০ কেজি 'বই' নামক বাটখারা...

নিস্তব্ধতার বিদায়ী সংকেত

কালো লিকলিকে ঠ্যাংজোড়া চাটাই থেকে বের হয়ে উঁকি মেরে চারপাশ ভালো করে দেখে নিচ্ছে। মাগরিবের পরের সময়টা কেমন যেন আবছায়া আলো। সাড়েতিন হাত নিচে যাওয়ার আগে যতটুকু দেখে নেওয়া যায়। শুধু কোথা থেকে যেন বিশ্রী একটা পঁচা গন্ধ অনেকক্ষণ ধরে নাকে লাগছে। এমনিতে অবশ্য শাহিন ছেলেটা বড্ড ঢ্যাঙা; ওই সিগনাল ল্যাম্পদেরও টেক্কা দিয়ে ফেলতে পারে। আর কে না জানে লম্বা লোকগুলোর থলথলে মগজের কারিকুরি তো সব হাঁটুতে।
মগজ দেখলে মাঝে মাঝে এনার্জি বাল্ব এর কথা মনে পড়ে যায়।



ছবিঃ রিফাত,  লেখাঃ রিয়াসাত

নিকষ কালো By AUmitrakkhor





Original Song: Paper Rhyme

Covered by AUMITRAKKHOR

উপকূল এক্সপ্রেস, ময়লা গেঞ্জি এবং আমি


আমি অনেক জেলা , অনেক জায়গা ঘুরেছি , মিশেছি অনেক লোকের সাথে। তবুও শ্রেণীভেদে মানুষের সাথে মানুষের জীবন অনেক জটিল এক অঙ্ক। এই অঙ্ক কষা কিন্তু সহজ কথা নয়। এত বেলা কেটে গেলো , অথচ কিছুই মিলেনি এই হিসাবের । একবার সেমিস্টার ব্রেকে চিন্তা করলাম , দিন মজুর দের সাথে সারাটা পথ একসাথে যাবো। ট্রেনে উঠার পাদানি কিংবা ট্রেনের ইঞ্জিনে করে এর আগে অনেক বার ঘুরেছি অনেক জায়গায়। হয়ত আমার বা আমাদের কাছে এটা সচরাচর না এবং খুবই রোমাঞ্চকর, কিন্তু যাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশই এই অস্বাভাবিকতা, তাদের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে পুরো প্রেক্ষাপট টা দেখতে কি আমাদের চোখে লাগা উদ্দাম তারুণ্যের আলোর মতই রঙ্গিন ? নাকি এই অধ্যায় অনেক চাপা কষ্টের ম্লান আর্তনাদের নিশ্চুপ কোলাহল।

কেমন করেই বা তাদের সাথে অজানা পথিকের চোখাচোখি হয় , অথবা স্বাভাবিকতার বলয় থেকে বেরিয়ে কি তাদের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিবাণ নিক্ষেপ করে সবাই ?

উঠে গেলাম এয়ারপোর্ট স্টেশান থেকে উপকূল এক্সপ্রেস এ, একটা ময়লা ছেঁড়া গেঞ্জি পরে । কিছুদুর যেতেই দেখলাম  একটা ছেলে গান গাইছে একটা থালার মত জিনিস পেটাতে পেটাতে। ছেলেটা অসম্ভব সুন্দর গাইছিলো, আর তবলা মত থালা পেটাচ্ছিলো। কিন্তু সবাই তার দিকে এক করূনার দৃষ্টি নিয়ে বদ্ধ ট্রেনে তাকিয়ে ছিল তার অন্ধ ঝাপসা চোখ দুটোর দিকে। আপি তার পিছু নিলাম । তার গান শুনতে শুনতে তিন বগি পার হলাম মানুষের ভিড় এড়িয়ে। কিন্তু তার মত এত সূক্ষ্ণভাবে এই ভিড়ের মাঝে হনহন করে হাটতে পারলাম না ।তার গান ও আস্তে আস্তে মিলিয়ে এলো।

এর পর গিয়ে বসলাম দড়জার কাছে বস্তানিয়ে বসা কয়েকজন দিনমজুর ভাই দের সাথে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন জিনিস সাঁই করে চলে যায় , আর তা নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু মন্তব্য করেও আলোচনা জমলো না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের সাথে চুপ করে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম এক দৃষ্টিতে। প্রথমে বিরক্তি লাগলেও পরমুহূর্তেই ট্রেনের চাকার তালের সাথে সকল কিছুর পেছনে ছুটে যাওয়ার একটা অন্তমিল উপভোগ করতে লাগলাম ।

এর পর বিভিন্ন স্টেশানে তারাও সবাই নেমে গেলেন। রইলেন বাকি একজন । সরল মনে জিজ্ঞেস করলাম কই যাবেন ? আঁতকে উঠে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষন । বুঝলাম গড়মিল হয়ে গিয়েছে কোথাও। কোথায় হয়েছে ? ও হ্যাঁ, আমার লেবাসের সাথে প্রমিত ভাষার কথা মেবি তালগোল পাকিয়ে ফেলছিল। বলল নোয়াখালী ।বুঝলাম একদম শেষ স্টেশান পর্যন্ত তাহলে কথা বার্তা বলার মত একজন ভাই কে পাওয়া গেলো । এইবেলা আমার ছুড়ে দেওয়া নানার কথার জবাব দিচ্ছেন তিনিও।

অনেক পরে রাতের দিকে দেখলাম ট্রেনের ঝিক ঝিক আওয়াজ ভেদ করে বগির ভেতর থেকে মানুষের আওয়াজ আসছে। দেখলাম সবাই খুব ভয়ে ভয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাঁদা দিচ্ছে। একে একে সবার কাছ থেকে নিল। এর পর বগি পার হওয়ার সময় আমাদের দিকে তাকালো । আমরা ট্রেনের দড়জায় পাদানিতে বসে মাথা ঘুরে তাদের কান্ডকারখানা দেখছিলাম আর দেখতে চাইলাম আমার সাথের এই লোক কিভাবে ওদের জবাব দেয় । কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে ওরা আমাদের থেকে টাকা না নিয়েই চলে গেলো।

জিজ্ঞেস করলাম ,' আমাদের থেকে টাকা নিলোনা কেন ?"
মুচকি হেসে ওই লোক জবাব দিলেন তারাও চেহারা দেখে বুঝে কার কাছে টাকা আছে আর কার কাছে নাই। তার এই জবাব শুনে বুঝলাম তাদের এই জাজমেন্ট পুরোটাই পোশাক নির্ভর। হঠাত করে পোশাক কে  ভাত খাওয়ানোর গল্পটা মনে পড়ে গেলো।

মেঘমুক্ত আকাশের তারারাও আমাদের সবার সাথে ছুটে চলছে। খুব গান শুনতে ইচ্ছা করছিল। তখনই এক ভিক্ষুক একটা গজল গাইতে গাইতে পাশ দিয়ে চলে গেলো।
আমি তার দিকে না ফিরে আকাশে টিম টিম করে জলতে থাকা একটা তারার দিকে তাকিয়ে রইলাম অপলক। ট্রেন ছুটে চলেছে আপন বেগে...............

রিফাত আহাম্মেদ
২০১৭

গোলার্ধের দীর্ঘতম রাত


সকাল সকাল কানের কাছে মোবাইলে এলার্ম টোন সেট করা গলা টিপে ধরে রাখা মুরগির কর্কশ আর্তনাদে ঘুম যত না অলসতায় ভাঙলো, এর চেয়েও দশগুন বেগে হাত গিয়ে অটোমেটিক মোবাইল তুলে এলার্ম বন্ধ করে দিল। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। আমি শুয়েই থাকি, এই মুরগির গলা টিপে মেরে ফেলা আমার হাত অটোমেটিক ই করে এখন। তবে আবার পরমূহুর্তেই আরেকটা মুরগি ডাকে "ক্রক্রিক্রিউ ক্যান.... "

ও, আজ পরীক্ষা ছিল। সকাল ৮ টায়। ফাইনাল পরীক্ষা। DLD ( ডিজিটাল লজিক ডিজাইন)। ডি এল ডি বলতে গেলে ডালডার কথা মাথায় আসে,তখনই আমাদের মাসার নিচের চুল্লার চা দোকানের ডালডা দিয়ে তৈরী করা পরোটার কথা মনে পড়ে যায়। আহা! কি আবেদনময়ী পরোটা। শালার....

এই নির্বাসিত জীবনে অগত্যা আমাকে একটা মুরগীর ডিম মাথার বদলে কড়াইয়ে ফাটিয়ে ভেজে ডাল দিয়ে সাদা ভাত মেরে সময়ের কথা চিন্তা করে টয়লেটের মায়া বিসর্জন দিয়ে গুটি গুটি পা এ ভার্সিটির পানে ছুটলাম।

পরীক্ষা দিতে বসে দেখলাম এই পৃথিবীর বিষাদগ্রস্হ মেঘময় এক মুখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার গায়ের মধ্যে লেখা Ans every question.

চারিদিকে সবাই কত ক্সছে, কিন্তু কত দূরে।
এদিকে সেদিকে কলমের খচখচ। কারো বিন্দুমাত্র সময় নেই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করার। পুরো হলে আমিই সবচেয়ে বেশি চিন্তা করছি প্রতিটি প্রশ্ন নিয়ে।

কলমের কালি যখন শেষ হচ্ছেনা একফোটাও, তখন নানা রকম জীবনমুখি বিজনেস আইডিয়া আমার মাথায় ঘুরছে, ঘুরছে ভার্সিটি থেকে পাশ না করলে কি কি করতে হবে, কিভাবে স্যাটেল হওয়া যায়, কি কি জিনিস শুরু করা যায় এইসব হাঙ্কি পাঙ্কি।

হল থেকে বের হয়ে দেখি সবার মন খারাপ। চুপ করে দাড়ালাম তাদের পাশে। তারা সবাই আপসেট কারণ এই ইজি প্রশ্নে নাকি তারা দুই একটা আন্সার ফুলমার্ক শিউর করতে পারেনাই।
আস্তে করে "তোজ্জিবন" বলে পাশ কাটিয়ে চলে এলাম চা গিলতে।

বাসায় যাইতে দেখি লোর্দমাক্ত পথে পা দেই এক দিকে পা সাইই করে আমার অগ্রগতির মত নিচের দিকে চলে যাচ্ছে স্লিপ করে।

বাসায় এসে দিলাম ঘুম। নামাজ মিস যেন না হয় এজন্য ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যাবহার করলাম ল্যাপটপে এলার্ম সেট করে ল্যাপটপ চালাই রেখে। খুবই ইফিশিয়েন্ট একটা সল্যুশান।

নামাজ পড়লাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার শামিম হাসান এর সাথে। সবাই দেখি পশ্চিম দিকে হাত দিয়ে মুনাজাত ধরে উত্তর দিকে খোমা ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে ওনার দিকে তাকাই বলতেসে,"দেখ দেখ "
উনি মেবি একটু ইতস্তত বোধ করছিলেন। আমি কিন্তু তাকাই নাই৷ আমি চারপাশের সবার দিকে তাকাচ্ছিলাম।

বাসায় এসে ভাত খেয়ে আবার ঘুমালাম। উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে৷ মধ্যাহ্ন বিরতীর পরের ঘুমেই দিনের ইনিংস শেষ। পরে জানলাম আজ (২১ শে ডিসেম্বর) শুরু হওয়া রাত এই গোলার্ধের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত।

খবর টা শুনেই যারা বিয়ে শাদি করলো আজ, তাদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে কোন এক দিন তাদের ক্লাবে ঢোকার ইচ্ছা ঠিক করে রাখলাম।

আজ রাতে গান গাইবো
"নির্ঘুম চোখ জানালায় আমি নিজেকে শুনাই নিজের গান "

আক্ষরিক অর্থেই নির্ঘুম। কারণ, দিনে ধুমসে ঘুম গেসি। অথচ একজন ব্যাচেলর হিসেবে রাত টার সদব্যাবহার করা উচিৎ ছিল।।সব উলটা পালটা। যেমন আজকের দিনটার দিন আর মাসের ডিজিট ( 21 / 12 / 2018 )

-- রিফাত আহাম্মেদ
২১.১২.২০১৮

দ্যা ব্লিস, অন্যসময় ও রুপকের জন্য ভালোবাসা



নাইন্টিজ এর ছেলেমেয়েদের কাছে অনেক কিছুই খুব সাদামাটা অথচ খুবই তীব্র আবেগের ভালোবাসামাখা বস্তু। এই যেমন বিটিভির ইত্যাদি, বিকেল বেলার ক্রিকেট, অথবা নতুন নতুন কম্পিউটার চেনা চোখ দুটোয় সবুজ নীলের মিশেলে মায়াবি এক ওয়ালপেপার।
না না,তখনো যান্ত্রিকতা গ্রাস করেনি সবাইকে। তোলা কাপড় চোপড় অথবা বিছানার চাদরের মত কম্পিউটার ও তোলা যন্ত্র, যা যখন তখন ধরা যায় না, অনেক্ষন পড়ালেখার পর একটুখানি গেইম খেলার জন্য নিজের ধৈর্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে পড়ার টেবিলে বসে থাকতে হত।

আমার জন্য সেই সময়ের উইন্ডোজ কম্পিউটারে ডিফল্ট ওয়ালপেপার "দ্যা ব্লিস" টা ও চরম ভালোবাসায় মোড়ানো ছিল। ১৯৯৮ এ চার্লস ও রেয়ার এর রেয়ার একটা ফ্রেম,অথচ যেটি তিনি তুলেছিলেন প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময়। নাপা ভ্যালীর পথে হুট করে গাড়ি থামিয়ে রৌদ্রজ্জল দিনে নতুন আসা আঙ্গুরের আঙ্গুরক্ষেতের ছবি তুললেন,যেই ছবিটা পরবর্তীতে কোটি মানুষ দেখেছে, যেই ছবিকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিবার দেখা আলোকচিত্র।


পরম ভালোবাসার এই ছবিটায় রৌদ্রজ্জল দিন যেমন সত্য,তেমনি সত্য এই পটভূমি এখন ধূসর হয়ে যাওয়ার। এখন ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা কান্ট্রিতে এই সবুজ সাজানো উজ্জ্বল দিনের ছবি কি দেখা যায়? এক পলকেই তো স্মৃতির জানালায় উকি দেয়। তাইনা?

হ্যা,যেমনটা অন্যসময় এলবামের কাভারে সেই চিরচেনা "দ্যা ব্লিস" উকি দিচ্ছে। মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে,ওপারে রুপক কেমন আছে, আমাদের এই দিক থেকে দেখা ধূসর পৃথিবীর ওপারে নিশ্চই আলো ঝলমলে এক সবুজ ঘাসের চাদর উকি দেয়। ভালো থাকো রুপক ওপারে। অনেক অনেক ভালোবাসা।


.......তোমার চোখের দূরের আকাশ মিশে থাকে
রূপক হয়ে,
তোমার জন্য বিষণ্ণ এক নিথর হৃদয়
আমার ভেতর দাঁড়ায় সরব একা।
তোমার পৃথিবী স্বর্গের মত চির অদেখা........
 সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা


রিফাত আহাম্মেদ
ফেব্রুয়ারী ১৪ , ২০১৯

বাংলা সংস্কৃতির অতীত ,ভবিষ্যত,ঢাকা কলকাতা কিংবা বিচ্ছিরি বিতর্ক


কি বিচ্ছিরি এবং বিভৎস
এই মতামতের পাশে ব্র্যাকেটে ব্যাক্তিগত মতামত লিখে দেওয়ারও কোন প্রয়োজন আশা করি নেই।
বিতর্ক করতে কাকে কাকে নেওয়া হয়েছে,তাদের ভাষাগত জ্ঞ্যানের পরিধি কতকটুকু সেগুলো নিয়েও কোন কথা নেই, কথা হল এইটা কোন বিতর্ক করার মত বিষয় হল?
একদমই খুবই সুস্পষ্টভাবে একটা বিভাজন রেখা টেনে দিলেন ,জিওগ্রাফিক লাইন টাকে ভাষার মাঝে নিয়ে আসলেন। হ্যাঁ, এইসব আলোচনা ত আসলেই সার্বজনিন ট্যাবু, এটাকে সেক্স এডুকেশানের মত ভুল ট্যাবু হিসেবে চিহ্নিত করে আবার একটা মঞ্চ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেলেছেন। বাহ !



ভাষা তার নিজের গতিতেই চলছে, পরিবর্তিত হচ্ছে । এটা নিয়ে এসবের কোন অর্থ আমি খুজে পাই না। কয় দিন আগে ইউটিউবের আরেক চ্যানেলে লোকজন কে ধরে ধরে টেবিল এর বাংলা, চেয়ারের বাংলা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, সেই ভিডিওর কাভারে আবার লেখা "আমরা কি বাংলা পারি?" এরকম কিছু । দয়া করে নবম দশম শ্রেণীর প্রথম অধ্যায়ের পারিভাষিক শব্দ এর অংশ টুকু পড়বেন। ব্যাকরণ এর পার্ট অনেকেই না পড়ে চলে যায়, SSC তে ব্যাকরণ থেকে শুধু MCQ আসে তো,তাই বুঝাও যায় না এই ৫০ মার্কে প্রাপ্ত নম্বর কি বুঝে পড়ে এসেছে নাকি দৈবচয়নে বৃত্ত বেছে নেওয়ার ফল । যাকগে, কারো মেধার নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলতে চাই না, আমি নিতান্তই তুচ্ছ একটা মানুষ। শুধু বলব, যখন দুই বাংলার ভাষা দু বাংলার কাছেই এত আপনা আর দুই যমজ ভাই বা বোনের মত, সেখানে এই বিতর্ক দেখার পর লোকজন নিজের দেশের বাইরে কারো মুখে বাংলা সাহিত্য নিয়ে কথা শুনলে আগে জিজ্ঞেস করবে আপনার দেশ কোনটা, এর পর আলোচনা সামনে আগাবে নাকি সেখানেই বিদায় নিবে,এই দৃশ্য কল্পনা করে গায়ে কাটা দিচ্ছে।
যাই গান শুনি,
"আমি বাংলায় কথা কই............"



ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১৯

মাতাল নদীর রোদ ও পিংক ফ্লয়েড

এক লোক ট্রল করে ফেবু তে এই লোকের গাওয়া পিংক ফ্লয়েডের উইশ ইউ আর হিয়ার এর বাংলা ভার্শান দিলো ।  বাট আমার গান টা অসম্ভব ভালো লাগে । এক ধরণের ঘো...